শুভ’র স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, মরদেহ পৌঁছানোর পর কালীগঞ্জে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ওয়ালটনের মোবাইল সেক্টরের টেরিটরি সেলস ম্যানেজার জাকারিয়া বিন হক শুভর মৃত্যুতে তার বড়বোন হাসিনা নাজনিন বিনতে হক শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে সকালে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

মামলায় শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ ও শাশুড়ি আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। শুভর চাচাত বোন ও রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) উলফৎ আরা লিনা রাতদিননিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শেহনীলা নাজ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আর তার মা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল বলে জানা গেছে।

এদিকে জাকারিয়া বিন হক শুভর মরদেহ গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পৌঁছলে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত  ও বিচার দাবিতে এলাকাবাসী মরদেহবাহী গাড়িসহ বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত পথসভা।

সেখান থেকে মরদেহ উত্তর ঘণেশ্যাম(এমসি) মোড়ের বাড়িতে পৌঁছলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বৃদ্ধা মা, বোন, স্বজনসহ উপস্থিত হাজারো মানুষ।

এদিকে ‍তুষভান্ডার জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের সামনে নামাজে জানাজা শেষে রাত ১২টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় শুভর মরদেহ। আর হাজারো মানুষের চোখের জলে চিরবিদায় নেন সদা হাসোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত জাকারিয়া হক বিন শুভ।

এদিকে শুভর মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে আজ শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল তিনটায় তুষভান্ডারে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে এলাকার লোকজন।

গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত ও বাবর রোডে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শুভ সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ফ্যানের সাথে ওড়না ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্ত্রী ও শাশুড়ি দাবি করলেও তার মরদেহ বেডরুমের মেঝেতে পড়ে ছিল। আর বন্ধু-স্বজনরা এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করে আসছেন শুরু থেকে।

এবি/রাতদিন