শুভ হত্যা মামলা: রাস্তায় নেমে বিচার চাইলেন স্বজন, বন্ধু, এলাকাবাসী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও একটি মোবাইল ফোন কোম্পানীর টেরিটরি সেলস ম্যানেজার জাকারিয়া বিন হক শুভ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্তসহ বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার, ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের তুষভান্ডার বাজারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। তার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে।

এতে নিহতের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন। এসময় ব্যবসায়ীরাও তাদের প্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ, নিহতের বোন হাসিনা ইয়াসমিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাবু, সাংবাদিক আব্দুর রব সুজন।

আরও বক্তব্য রাখেন, তুষভান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম আহমেদ, তুষভান্ডার বণিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব মিলু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেফাজ রাঙ্গা, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, শুভর চাচা আফজাল হোসেন ও ভাগ্নি সুমাইয়া, পদক রহমান, তুরাগসহ অন্যরা।

বক্তারা বলেন, শুভ কালীগঞ্জ তথা দেশের সম্পদ ছিল। অথচ থাকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ঘটনার চারদিন পরেও মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দ্রুত গ্রেফতারসহ এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।

পরে নিহতের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এসময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জাকারিয়া বিন হক শুভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় তার বড়বোন হাসিনা নাজনিন বিনতে হক রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় শুভর স্ত্রী ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেহনীলা নাজ শেন এবং শাশুড়ি ও রাজধানীর একটি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

শুভ সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ফ্যানের সাথে ওড়না ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্ত্রী ও শাশুড়ি দাবি করলেও তার মরদেহ বেডরুমের মেঝেতে পড়ে ছিল।

এবি/রাতদিন