শেষ ওভারে আরিফুলের চার ছক্কায় ম্যাচ খুলনার

দু’দলের ২২ জন খেলছেন। কিন্তু আলোর ছটা সবচেয়ে বেশি ছিল সাকিব আল হাসানের ওপর। সাকিব ম্যাচে ব্যাটে-বলে তেমন বড় কিছু করতে পারেননি। ৩ ওভারের বোলিংয়ে ১৮ রানে ১ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ১৩ বলে ১৫ রান করেন। তবে ম্যাচ শেষে সাকিবের মুখে ঠিকই হাসি ঝরল। তার দল জেমকন খুলনা ম্যাচ জিতল ৪ উইকেটে। শেষ ওভারে চার ছক্কার ঝড় তুলে খুলনাকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন আরিফুল।

কি আশ্চর্য, দিনের ম্যাচে শেষ ওভারে রাজশাহীর স্পিনার মেহেদি হেসেছিলেন জয়ের হাসি। সেই ম্যাচে ঢাকাকে শেষ ওভারে ৯ রান তুলতে দেননি মেহেদি। আর রাতের ম্যাচে সিনিয়র মেহেদি শেষ ওভারে ২২ রানও ডিফেন্ড করতে পারলেন না!

ক্রিকেট আসলে এমনই! কখন কিভাবে কাকে জেতাবে- শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত বোঝা দায়। ম্যাচ শেষে বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালও মানলেন- ‘এক ওভারের খেলাই ম্যাচের হিসেব বদলে দিয়েছে। যেভাবে সামনে বাড়ছিল খুলনা, তাতে ১৯ নম্বর ওভারে তাসকিনকে না ডেকে উপায় ছিল না। আরিফুল শেষ ওভারে ম্যাচ জিতে নিল।’

টসে হেরে ফরচুন বরিশাল তুলেছিল ১৫২ রান। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৪২ বলে ৫১ রান করেন। মাঝে তৈাহিদ হৃদয় ২৫ বলে করেন ২৭ রান। আর শেষের দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩ ছক্কায় ১০ বলে তুলেন ২১ রান। খুলনা পেসার শহিদুল ইসলাম ৪ ওভারে ১৭ রানে ৪ উইকেট পান।

রান তাড়ায় খুলনার পাওয়ার প্লে’তে ৩৬ রানে হারায় ৪ উইকেট। মাহমুদউল্লাহ, সাকিব দুজনেই প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ। জহুরুল, আরিফুল ও শামীম হোসেনের ব্যাটিং শক্তিতে খুলনা ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে। আর শেষ ওভারে আরিফুল একা হাতে চার ছক্কায় দলকে জয় উপহার দিলেন।

টুর্নামেন্টের সামনের সময়ের জন্য একটা কৌতূহল রেখে দিলেন তামিম ইকবাল এই ম্যাচে। ম্যাচের শেষ ওভার করার জন্য কি আর কখনো বরিশাল অধিনায়ক স্পিনারের হাতে বল তুলে দেবেন?

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ফরচুন বরিশাল: ১৫২/৯। জেমকন খুলনা: ১৫৫/৬ ফল: খুলনা ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: আরিফুল হক।