শ্রীলংকায় মুসলিমদের উপর হামলায় নিহত ১, মসজিদ ভাংচুর, কারফিউ জারি

২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার পর থেকেই দেশটিতে মুসলিম বিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সারাদেশে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত সহিসংতায় একজন মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। খবর এএফপি’র।

দেশটির বিভিন্ন শহরে দাঙ্গাকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।

গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডে’তে শ্রীলংকার কয়েকটি গির্জা ও অভিজাত হোটেলে একযোগে ইসলামপন্থী জঙ্গীদের হামলার ঘটনায় ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। হামলার পর থেকেই দেশটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মুসল্লীদের মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়।

শ্রীলংকার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর কিনিয়ামায় একটি মসজিদের দরজা-জানালা ভাংচুর করেছে আক্রমণকারীরা। এখানে পবিত্র কোরানের কয়েকটি কপিও মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মসজিদের ভবনে তল্লাশির দাবি জানিয়ে জনতা সেখানে পুলিশী অভিযানের দাবি উঠালে এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার আগে মসজিদের নিকটস্থ একটি জলাশয়ে অস্ত্র আছে কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকে এক ব্যক্তির দেওয়া বিতর্কিত একটি পোস্টের পর খ্রিস্টান-প্রধান শহর চিলৌ-তে মুসলিমদের কিছু দোকান ও মসজিদে আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

অবশ্য পরবর্তীতে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ৩৮ বছর বয়সী সেই মুসলিম ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়।

তবে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা আরো ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ আরো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শ্রীলংকার ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার সিংহভাগই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। সেখান প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ মুসলিম।

অন্যদিকে এ পরিস্থিতিতে দেশের সকলকে শান্ত থাকার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহ।

জেএম/রাতদিন