সপ্তাহ না যেতেই পাটগ্রাম সীমান্তে আবারও বিএসএফ’র গুলি, চলতি বছরে চার মৃত্যু

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোঁড়া গুলিতে জাহিদুল ইসলাম (২২) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই সীমান্তে এটি দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা। আর চলতি বছরে এটি চতুর্থ।

বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন পিলার ও সাব পিলার ৫ নম্বরের পাশে বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জাহিদুল। এ ঘটনায় আরেক গরুর রাখাল আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত জাহিদুল ইসলাম (২২) উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মধ্য ইসলামপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে।

সীমান্ত সূত্র ও বিজিবি জানায়, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন পিলার ও সাব পিলার ৫ নম্বরের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বাংলাদেশি গরু পারাপারকারীদের ৭/৮ জনের একটি দল ভারত থেকে গরু আনতে যায়। এ সময় বিএসএফের কৌশিক ক্যাম্প ও রতনপুর ক্যাম্পের মাঝামাঝি সীমান্তে পৌঁছলে ভারতের ১৪০ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহলদলের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলিতে ছুঁড়লে জাহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে তাকে ভারতীয় বিএসএফের সদস্যরা ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েবাড়িতে আছেন বলে জানা গেছে।

শমসের নগর বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আজহারুল সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিকেলে পার্শ্ববর্তী সীমান্তে বিজিবি- বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানানো হবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোজাম্মেল হকের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

প্রসংগত, সর্বশেষ চলতি সপ্তাহের গত ১২ ডিসেম্বর এই সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে মারা যান তালেব নামের এক যুবক। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারী ও জুন মাসে পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী মৃত্যুবরণ করে।

জেএম/রাতদিন