সমকামিতায় অতিষ্ঠ কিশোর হত্যা করেছে শ্রমিক নেতাকে

সমকামিতায় বাধ্য করায় ক্ষোভে রাজশাহীর পুঠিয়ায় শ্রমিক নেতা নূরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত ও নূরুলের লালসার শিকার এক কিশোর আদালতে এ নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

১৬ বছরের সেই কিশোর সোমবার, ১৭ জুন রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আরিফুল ইসলামের কাছে এ জবানবন্দি দেয়। একই সঙ্গে নূরুলের লালসার শিকার আরো তিন যুবক আদালতে তাদেরকে নির্যাতনের ঘটনার কথা বর্ণনা করেছে বলে কালের কন্ঠ অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত ১১ জুন রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়ীয়া গ্রামস্থ এএসএস ইটভাটায় শ্রমিক নেতা মো. নূরুল ইসলামের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই পুঠিয়া থানায় মৃত নূরুলের মেয়ে বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন।

রাজশাহীর পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। এরপর পুলিশ গত ১৬ জুন পুঠিয়া উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের ওই কিশোরকে পুঠিয়া থানা এলাকা থেকে আটক করে। পরবর্তীতে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

জবানবন্দিতে সে উল্লেখ করে, নূরুল ইসলামকে প্রতিবেশী জীবন নানা বলে সম্বোধন করত। নূরুল ইসলাম তাকে টাকার প্রলোভন দিয়ে প্রায়ই সমকামিতার কাজ করাত এবং এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে শারীরিক, মানসিকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত।

গত ১০ জুন রাত ৯টার দিকে সমকামিতার উদ্দেশ্যে দু’জনেই পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়ীয়া গ্রামস্থ এএসএস ইটভাটায় অবস্থান নেয়। সমকামিতার একপর্যায়ে নূরুল ইসলাম মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় দীর্ঘদিনের ক্ষোভে এবং সমকামিতা মেনে নিতে না পেরে প্রথমে নূরুলের গলা টিপে ধরে কিশোর। তারপর ইট দিয়ে মাথায় উপুর্যপুরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে নূরুলের মনদেহ ফেলে রেখে বাসায় চলে আসে ওই কিশোর।

ওই কিশোর জানায়, এর আগেও নূরুল ইসলামের সমকামিতার বদ অভ্যাস ছিল এবং একই এলাকার বিভিন্নজনকে এ কাজে সে ব্যবহার করত।

এইচএ/রাতদিন