সমুদ্রস্নানে মশগুল দম্পতি, ঢেউয়ে ভেসে গেল সন্তান

সন্তানকে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে সৈকতে রেখে সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছেন দম্পতি। ফিরে এসে দেখেন সন্তান নেই। পরে সমুদ্র জলেই লাশ মিললো তার।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সমুদ্র সৈকত দিঘায়। সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে জগন্নাথ ঘাটের কাছ থেকে সাত বছরের আবির ধাড়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে শনিবার দুপুরে সমুদ্রস্নান শেষে সৈকতে ফিরে যখন সন্তানকে পাচ্ছিলেন না, তখন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন হুগলি থেকে বেড়াতে আসা এক পর্যটক দম্পতি। ছেলেকে কেউ নিয়ে গেছে, না কি সে সমুদ্রে তলিয়ে গেছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে ছিল পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার দুই ছেলেমেয়েকে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলার জন্য বিচে রেখে সমুদ্রে নেমেছিলেন তারা। আধ ঘণ্টা পর সমুদ্র থেকে উঠে আর ৭ বছরের ছেলেকে খুঁজে পাননি পর্যটক দম্পতি। সৈকতে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও রহস্যের কিনারা করতে পারছিল না পুলিশ।

দিঘা থানার ওসি বাসুকি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নিখোঁজ ছেলেটি দলের অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছিল। সঙ্গে ওর বোনও ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে ওদের বিচে নামতে ও উঠতে দেখা গেছে। তবে ওঠার সময় বাচ্চাটাকে দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বাচ্চাটি সকলের নজর এড়িয়ে সমুদ্রে নেমেছিল।’

এই ঘটনায় বাবা-মায়ের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা।

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে নিউ দিঘার পার্কিং প্লেসে গাড়ির মধ্যে ঘুমন্ত সন্তানকে রেখে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলেন এক দম্পতি। দীর্ঘ সময় গাড়ির মধ্যে বন্ধ থাকার কারণে শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। গাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য দফায় দফায় জানলায় ধাক্কা দিতে দেখে জানলার কাচ ভেঙে তাকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

তাই এ ধরনের ঘটনায় মা-বাবার উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।

এনএইচ/রাতদিন