সাংবাদিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা কামাল হোসেন নামের স্থানীয় এক সাংবাদিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে তাহিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জে আনা হচ্ছে।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট জাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কামাল হোসেন দৈনিক সংবাদ ও সিলেটের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক শুভ প্রতিদিন-এর তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।

কামাল হোসেনের ছোট ভাই রাসেল আহমদ জানান, একটি চক্র যাদুকাটা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীতীরের অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে, কামাল তাদের নিয়ে নিউজ করেছিলেন।

রাসেল আরও বলেন, সোমবার সকালে ঘাগটিয়া গ্রামের মাহমুদুল ইসলাম, দীন ইসলাম ও রইস উদ্দিন ফোন দিয়ে দেখা করতে বলে। দুপুরে আমার ভাই তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে তারা এলোপাড়াতি মারধর শুরু করে। বাজারের একটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

খবর পেয়ে আমরা বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় বাদাঘাট ফাঁড়ি থেকে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। এখন চিকিৎসক বলছেন সুনামগঞ্জে নিয়ে যেতে হবে।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক কামাল হোসেন বলেন, তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তার কপালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় কপাল কেটে গেছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি এ নিয়ে থানায় মামলা করবেন বলে জানান।

তাহিরপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার মির শাহানুর জোমন ঢাকা পোস্টকে বললেন, কামাল হোসেন নামের আহত ব্যক্তির কপালে ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। পায়েও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সুনামগঞ্জে পাঠিয়েছি।

তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এবং আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনএ/রাতদিন

মতামত দিন