সাংবাদিকের কেনা নতুন শাওমি ফোনে বিস্ফোরণ

ঢাকায় শাওমি ‘রেডমি গো’ মডেলের একটি হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীর কিরণ নামের এক গ্রাহক মঙ্গলবার, ২৫ জুন ঘটনা পরবর্তী বিস্ফোরণের ছবিসহ বিবরণ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।

এর আগের দিন সন্ধ্যায় তিনি ফোনটি কিনেছিলেন। সকালে সেটে সিম ভরার সময় এটি বিস্ফোরিত হয়। ফোন বিস্ফোরণের ঘটনায় তার হাতে চোট লেগেছে। জাহাঙ্গীর কিরণ দৈনিক মানবকন্ঠের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।

ফেসবুক পোস্টে জাহাঙ্গীর কিরণ লিখেছেন, ‘গতকাল রাতে বসুন্ধরা মার্কেট থেকে শাওমির একটা স্মার্টফোন কিনে আনলাম। সকালে সিম সেট করার জন্য মোবাইল খুলতেই হাতের মধ্যে ব্লাস্ট হয়ে গেল। আগুন আর ধোঁয়ায় মুহূর্তেই অন্ধকার হয়ে গেল পুরো ঘর। হাতে সামান্য একটু লাগলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ হেফাজত করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।’

বাংলাদেশে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শাওমি ফোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। শাওমি মোবাইল ফোন বাজারজাতকরণের শুরু থেকেই ব্যবহারকারীদের অভিযোগ কিছুক্ষণ ব্যবহারেই প্রচণ্ড গরম হয়ে যায় ফোন।

শাওমি ফোন কেন বিস্ফোরণ হলো এ বিষয়ে জবাব দিয়েছেন শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড জিয়া উদ্দিন চৌধুরী। শাওমির পক্ষে তাদের বাংলাদেশের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান কনসিটো পিআর থেকে একটি লিখিত বক্তব্য দেয়া হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘শাওমিতে আমরা গ্রাহকদের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেই এবং তাই ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ মান নিশ্চিতের জন্য আমাদের সব ডিভাইস কঠোর মান পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। আমরা এই গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তাকে ডিভাইসটি হস্তান্তর করতে অনুরোধ করেছি।’

‘এই সমস্যা সমাধানের জন্য এই ঘটনাটির কারণ সম্পর্কে জানতে সঠিকভাবে তদন্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তবে শাওমি টিম একাধিক সমাধান অফার করা স্বত্বেও ওই গ্রাহক ডিভাইসটি হস্তান্তরে অসম্মতি জানান বলেও তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা দ্রুত ডিভাইসটি হাতে পাওয়ার চেষ্টা করছি এবং আমরা কোন আপডেট পেলে যত দ্রুত সম্ভব নতুন তথ্য শেয়ার করবো। ডিভাইসটি হাতে না আসা পর্যন্ত আমরা কোন মন্তব্য করতে পারছি না এবং কোন পদক্ষেপও নিতে পারছি না। শাওমি পণ্য, সেবা ও কাজের মাধ্যমে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং এর জন্য কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রাখবে।’

এবি/রাতদিন