সাকিবের বার্বাডোজ দ্বিতীয়বারের মতো ঘরে তুললো সিপিএল শিরোপা

টুর্নামেন্টে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকা গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে ২৭ রানে হারিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস।

শনিবার, ১২ অক্টোবর রাতে ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রান তোলে বার্বাডোজ। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থেমে যায় গায়ানা।

সাকিব সেরার মঞ্চে ব্যাট হাতে এক চারে ১৫ বলে ১৫ রান করেন। বল হাতে ছিলেন আরও অনুজ্জ্বল। ২ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ছিলেন উইকেটশূন্য।

বার্বাডোজের ফাইনাল লড়াইটা ছিল কোয়ালিফায়ারের মতোই। শুরুতে কিছু রান, মিডলে চরম ব্যর্থতা, শেষে টেলের লড়াই। উদ্বোধনীতে ৫.২ ওভারে ৪৩ রান তুলেছিলেন চার্লস ও হেলস।

ছবি: সংগৃহীত

চার্লস ৬ চার ও এক ছয়ে ২২ বলে ৩৯, হেলস ২টি করে চার-ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ করে ফিরলে ব্যর্থতার মড়ক লাগে পরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।

তিনে নামা সল্ট রানের খাতাই খুলতে পারেননি। চারে নেমে হোপ করেন ৮, পাঁচে সাকিব ১৫, আর অধিনায়ক হোল্ডার ১ করে সাজঘরে ফেরেন।

সেখান থেকে পাল্টা প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ আনেন জোনাথন কার্টার ও অ্যাশলে নার্স। শেষ ৫ ওভারে ৬২ রান যোগ করেন দুজনে। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আউট হওয়ার পর বার্বাডোজ আর কোনো উইকেটই হারায়নি।

কার্টার ৪টি করে চার-ছক্কায় ২৭ বলে ঠিক ৫০ করে অপরাজিত থাকেন। নার্স অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে, একটি করে চার-ছয়ে ১৫ বলে।

রান তাড়া করতে নেমে আগের আসরগুলোতে চারবার ফাইনালে উঠে শিরোপা ছুঁতে না পারা গায়ানা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। ওপেনার কিং ৩৩ বলে ৪৩, হেমরাজ ১, হেটমায়ার ৯, অধিনায়ক শোয়েব মালিক ৪, পুরান ২৪, রাদারফোর্ড ১৫, শেফার্ড ৯, পল ২৫ রানে আসা-যাওয়ার মিছিল দীর্ঘ করেন।

বার্বাডোজের বল হাতে সবচেয়ে সফল রেমন রেইফার, ২৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। গুর্নে ও নার্স নিয়েছেন ২টি করে উইকেট, একটি পেয়েছেন ওয়ালস।

শান্ত/রাতদিন