সারা বিশ্বে ভুয়া খবরের শিকার ৮৬% মানুষ!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বা টুইটারে প্রায়ই এমন সব ভুয়া খবর ও ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যা বিশ্বাস করে অনেকে প্রতারিত হয়। অনেক সময় পুরনো ঘটনার ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয় নতুন কোনো ঘটনার কথা। সম্প্রতি একটি মার্কিন থিংক ট্যাংকের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ৮৬ শতাংশই ভুয়া খবরের শিকার হচ্ছে।


বিশ্বের ২৫টি দেশের ২৫ হাজার মানুষের ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ সমীক্ষা চলে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভুয়া খবরের বেশির ভাগই ছড়াচ্ছে ফেসবুকে। এ ছাড়া ইউটিউব, টুইটার এবং ব্লগেও ভুয়া খবরের রমরমা অবস্থা।


সমীক্ষা বলছে, বেশির ভাগ ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এর পরই রয়েছে রাশিয়া ও চীন। ভুয়া খবরে প্রতারিত হতে হতে ইন্টারনেটের ওপর ক্রমেই আস্থা হারাচ্ছে সাধরণ মানুষ। এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতি ও রাজনৈতিক চর্চায়। সরকার ও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোর তাই অবিলম্বে সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে থিংক ট্যাংকটি। এর পক্ষে ফেন অসলার হ্যাম্পসন বলেন, ‘দেখা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো দৈনন্দিন জীবনে তথা ব্যক্তি-পরিসরে যেভাবে ছড়ি ঘোরাচ্ছে, তা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ।’


সমীক্ষকরা দেখেছেন, সবচেয়ে সহজে প্রভাবিত হচ্ছে মিসরের মানুষ। আর সবচেয়ে বেশি সন্দেহপ্রবণ পাকিস্তানিরা। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে সামাজিক মাধ্যম সংস্থার উঁকিঝুঁকি এবং ইন্টারনেটজুড়ে অবিশ্বাসের জাল যে বহুদূর ছড়িয়ে গেছে, সমীক্ষার প্রয়োজনে মুখোমুখি ও অনলাইনে নেওয়া সাক্ষাৎকারগুলো তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার।

এইচএম/ রাতদিন