সৈয়দপুরে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

নীলফামারীর সৈয়দপুরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী (২০)। গত বুধবার, ১২ জুন গভীর রাতে শহরের উপকন্ঠে বাইপাস সড়কের পাতাকুঁড়ি ও মোজারমোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে গণধর্ষণের ওই ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণী নিজের বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিন যুবককে গত বৃহস্পতিবার দিনে ও গভীর রাতে পৃথক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে কয়াগোলাহাট দক্ষিণপাড়ার আকবার আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (২৫), কয়াগোলাহাট ডাঙ্গাপাড়া ফজলুর হকের ছেলে আব্দুল খালেক (২৩) ও কয়াগোলাহাট সরকারপাড়ার  মো. জোবায়দুল ইসলামে ছেলে মো. আসাদুজ্জামান আসাদ (২৪)।

ধর্ষণের শিকার তরুণী বর্তমানে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা তরুণী ঢাকার একটি সিরামিক কারাখানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সৈয়দপুরের কয়াগোলাহাট দক্ষিণপাড়া মো. আকবার আলী ছেলে আমজাদ হোসেনের (২৫)।

মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, গেল ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ওই তরুণী নিজ বাড়িতে আসে। ঘটনার দিন প্রেমিক আমজাদ হোসেন তাঁর প্রেমিকা ওই তরুণীকে ফুঁসলিয়ে  দিনাজপুর বেড়াতে নিয়ে যায়। এ সময় আমজাদের ২ বন্ধুও তাদের সঙ্গে সেখানে যায়। সারাদিন সেখানকার বিভিন্ন বিনোদন পার্কে ঘুরাফেরা করে গভীর রাতে তারা সৈয়দপুরে ফিরে আসে এবং শহরের বাসপাস সড়কের পাতাকুঁড়ি ও মোজার মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানের বাগানের একটি ফাঁকা ঘরের মধ্যে তিন বন্ধু মিলে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ভোররাতে ধর্ষিতাকে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা তাঁর মায়ের সঙ্গে গিয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। পুলিশ তাঁর অভিযোগটি আমলে নিয়ে ধর্ষিতার চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর পাঠায়। এর পর  পরই গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার আসামী আমজাদ হোসেন ও আব্দুল খালেককে পৃথক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে আটককৃত আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার  গভীর রাতে দিনাজপুর শহরের একটি বাড়ি থেকে অপর ধর্ষক আসাদুজ্জামান আসাদকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত করছেন সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল।

তিনি জানান, আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আসামীদের ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে গতকাল শুক্রবার নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এন/ রাতদিন