সৈয়দপুরে চোর সন্দেহে পিটিয়ে যুবক হত্যা, নিহতের পরিচয় মিলেছে

নীলফামারীর সৈয়দপুরে চোর সন্দেহে গণপটুনিতে নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আব্দুর রহিম (৪০)। সে পঞ্চগড় জেলা সদরের চাঁনপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে।

পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন। রোববার, ১৬ জানুয়ারি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

চিরিরবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, চিরিরবন্দরে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে আব্দুর রহিমকে সনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আব্দুর রহিম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের হোসেন আলীর স্ত্রী তাহেরা বেগম ও তাঁর ছোট ছেলে খায়রুল ইসলাম এবং একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান মোখলেছকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল রবিবার দিনাজপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় এবং মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি শনিবার বিকেল আনুমানিক ৩টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ঠাকুরেরহাট সংলগ্ন ডালিয়া ক্যানেলের পানির নিচে কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় আব্দুর রহিমের মরদেহ অজ্ঞাতনামা হিসেবে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তাকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বালাপাড়ার হোসেন আলীর বাড়িতে চোর সন্দেহে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে সেখানে তাঁর মৃত্যু ঘটে।

পরে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে সেখান থেকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ঠাকুরেরহাট সংলগ্ন ডালিয়া ক্যানেলের পানির নিচে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবিসহ লাশ গুমের বিষয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সৈয়দপুর থানা পুলিশ অনেক খোঁজাখুঁজির পর সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উল্লিখিত এলাকার ডালিয়া ক্যানেল থেকে তার লাশটি উদ্ধার করেন।

জেএম/রাতদিন