সৈয়দপুরে পা বাধা যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার! গ্রেপ্তার ৩

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিধান চন্দ্র রায়ের (২৬) মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারেরর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নিহত বিধানের বাবা প্রফুল্ল্য চন্দ্র রায় বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের দিন শুক্রবার, ২৭ মার্চ মামলার এজাহারভূক্ত তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। .

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের হুগলীপাড়া মৃত. বিনোদ চন্দ্র সরকারের ছেলে উত্তম কুমার সরকার (৪০), একই গ্রামের নরেন চন্দ্র সরকারের ছেলে নগেন চন্দ্র সরকার (৪৫) এবং একই ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী গ্রামের মৃত. সুনীল চন্দ্র মোহন্তের ছেলে কাজল চন্দ্র মোহন্ত (৪৮)।

মামলা সুত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার শ্রী প্রফুল্ল্য চন্দ্র রায়ের ছেলে বিধান চন্দ্র রায়। সে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে সৈয়দপুর শহরের সুইপার কলোনীর একটি টাইলস্ দোকানেও কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতো।

ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার সকালে তাদের বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে একটি গাছ থেকে বিধান চন্দ্র রায়ের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশ। হুগলীপাড়ার জনৈক দেবেন্দ্র নাথ সরকারের লিচু বাগানের একটি গাছ থেকে দুই পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।

এ ঘটনার পর উদ্ধারকৃত লাশের ময়না তদন্ত শেষে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহত বিধানের বাবা প্রফুল্ল্য চন্দ্র রায় গত শুক্রবার রাতেই সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে (বিধান চন্দ্র রায়) প্রেমঘটিত কারণে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ আনেন।

এ মামলা দায়েরের পর পরই মামলার এজাহারভূক্ত তিন আসামী উত্তম কুমার সরকার, কাজল চন্দ্র মোহন্ত এব নগেন চন্দ্র সরকারকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সৈয়দপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান জানান, মামলার এজাহারভূক্ত তিন আসামীকে গত শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আর গতকাল শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।