সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক কলেজ বন্ধ, ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছে অনলাইন ক্লাশ

নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে জুম অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাশ চলছে। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালু রাখা এবং মানসিক এক ঘেয়ামি দূর করার লক্ষ্যে অনলাইন ক্লাশ শুরু করা হয়েছে। আর অনলাইনে ক্লাশ শুরু থেকে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তা অব্যাহত রয়েছে অদ্যাবধি।

অনলাইনে ক্লাশের বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেদের উজ্জীবিত করে তুলছেন।

প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ (ইংলিশ ভার্সন) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, চলমান করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আমাদের প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. সাজ্জাদ হোসেন, পিএসসি সার্বিক নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর পরই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করা হয়। আর সে বিকল্প পথ হিসেবে অনলাইনকে বেছে নেয়া হয়েছে।

প্রথমে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সকল শ্রেণি ও শাখার শ্রেণি শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী ও বিষয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ গঠন করা হয়। এর মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে একটি নিবিড় যোগাযোগের বন্ধন সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের বাংলা ও ইংলিশ উভয় ভার্সনে নার্সারী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাশ চালু করা হয়েছে। আর সেই থেকে ক্লাশ রুটিন যথাযথভাবে অনুসরণ করে জুম অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাশ চলছে।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইডে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তুতিমূলক বাড়ির কাজ দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে সংসদ টিভির নিয়মিত কার্যক্রমও যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান খোলার পর সেগুলো মূল্যায়নের বিষয়েও তাদের অবহিত করা হয়। এসব কার্যক্রম অব্যাহত রেখে বর্তমানে জুম অনলাইন ক্লাশের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর পাঠ্যসূচীর অগ্রগতি যথাযথভাবে অনুসরন করা হচ্ছে।

চলমান বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিকূল সময়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় অনলাইনে ক্লাশ চালুর বিষয়টি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সকলের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতি ও পরিবেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় তথ্য প্রযুক্তির এরূপ ব্যবহার গোটা নীলফামারীসহ আশেপাশের জেলা উপজেলায় ঈর্ষণীয় সাড়া ফেলেছে।