নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ‘যুবলীগের আশ্রয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধীর সন্তান’ দিলনেওয়াজ খান ও তার আশ্রয় দাতা নেতাদের বহিস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। আজ সোমবার, ২৪ আগস্ট দুপুরে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ সন্তান মহসিনুল হক মহসিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অবাঙালি দিলনেওয়াজ খান সৈয়দপুর উপজেলা যুবলীগের আশ্রয়ে সৈয়দপুর শহরে বাঙালি-অবাঙালি বিভাজন তৈরি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী দিলনেওয়াজ খান পার্বতীপুরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী নঈম খান ওরফে নঈম গুন্ডার সন্তান। তার পিতা মুক্তিযুদ্ধের সময় পার্বতীপুরে গণহত্যা, লুট ও ধর্ষণসহ বাঙালি হত্যাযজ্ঞের হোতা ছিলেন। যা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গবেষনায় উঠে এসেছে।
তিনি আরও দাবি করেন, দিলনেওয়াজ খান স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার আশ্রয়-প্রশয়ে যুবলীগের পদ-পদবি বাগিয়ে অপকর্ম চালিয়ে আসছে। শহরের এক হিন্দু পরিবারের বাড়ি দখলের ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিস্কারও করা হয়। কিন্তু কালো টাকার জোরে ফের দলে ফিরে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে মহসিনুল হক মহসিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দলকে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারমুক্ত করার তাগিদ থেকে সৈয়দপুর উপজেলা যুবলীগের ওই নেতাকে যুদ্ধাপরাধীর সন্তান চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ এই সত্যকে পাশ কাটিয়ে দিলনেওয়াজ খান আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে তার পিতা যুদ্ধাপরাধী নয় বলে দাবি করেছে। যা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করেছে।
তিনি যুদ্ধাপরাধীর সন্তান দিলনেওয়াজ খানকে বহিস্কারসহ তার মদদদাতা নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন, প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার মো. কবির উদ্দিন ইউনুছ, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী, আব্দুল মান্নান ও মির্জা সালাউদ্দিন বেগ।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এবি/রাতদিন