সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১১১ দফা বাস্তবায়নে চার কমিটি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে সড়কপথে নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা বন্ধের জন্য সরকারের গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে চারটি কমিটি গঠন করেছে টাস্কফোর্স কমিটি।

রোববার, ২৪ নভেম্বর সচিবালয়ে শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম সভা শেষে কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১১১ দফা বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে, সেই ফোর্সের কাজ ছিল পরিবহন সেক্টরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বাস্তবমুখী পরিকল্পনা করা। আজ সেই কমিটির প্রথম সভা হলো। সভায় ১১১ সুপারিশ বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনার জন্য চার সচিবের নেতৃত্বে চারটি সাব কমিটি করেছি। তারা নির্ধারণ করবে, কোথায় কী কাজ করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যোগাগাযোগ সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, তথ্য সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে চারটি কমিটি হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশ ও পরিকল্পনা তারা দেবেন। দুই মাস পর আবার টাস্কফোর্সের বৈঠক হবে। তাদের সুপারিশের সঙ্গে অ্যাকশন প্ল্যান করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, ১১১ দফা নিয়ে এখনো কাজ শুরু করিনি। টাস্কফোর্স গঠন গেজেট হয়েছে ১৬ অক্টোবর, ফলে তা বাস্তবায়নে সময় নষ্ট হয়নি। আইন বাস্তবায়নে কিছু দুর্বলতা ছিল। বিআরটিএ এখনো রিনিউ করতে পারেনি। আমাদের মেসিড অ্যাকশন প্ল্যান দরকার ছিল, তাদের লাইসেন্স দিতে না পারলে আমরা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। তাই আমরা সময় দিয়েছি। কয়েকটি জায়গায় বলেছি জুনের মধ্যে তাদের কাজ শেষ করতে হবে। যানবাহনে ত্রুটি থাকলে বিআরটিএর মাধ্যমে জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে শেষ করতে হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে গাড়ির ফিটনেস ট্যাক্স দেয়নি, তাদের জরিমানা মওকুফের দাবি জানিয়েছিল। আমরা তাদের আবেদন জমা দিতে বলেছি। আবেদনে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে তা মওকুফ করা হবে। তবে একবারই তা মওকুফ করা হবে, পরে আর তা মওকুফ করা হবে না।

নতুন সড়ক আইনে মৃত্যুদণ্ডের কথা লেখা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন সড়ক আইনে ফাঁসির কোনো কথা লেখা নেই। মিথ্যা প্রচারের জন্য চালকদের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। সেজন্য তথ্য সচিব কাজ করবেন। আইনে কত বছর সাজা হবে এবং সর্বোচ্চ কত টাকা জরিমানা হবে সেটি লেখা হয়েছে, সেটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেই। তবে আইন অনুযায়ী কি শাস্তি বা অর্থদণ্ড হবে সেটা বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন।

নতুন সড়ক আইনের সবকিছু প্রয়োগ হয়ে গেছে, আইন স্থগিত করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

এনএ/রাতদিন