হাতীবান্ধায় গাছ তুলতে বাধা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে মারধরের অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সজনা (সজিনা) গাছ তুলতে বাধা দেয়ায় আব্দুর রহমান (৬৮) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার, ২ জুন দুপুরে ওই মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে নিতনজনকে আসামী করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পূর্বসারডুবি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দফছির উদ্দিনের ছেলে মইনুল ইসলাম মুন্না (২৪), আব্বাস আলীর ছেলে ও মুন্নার বাবা দফছির উদ্দিন (৫০) ও দফছির উদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪৫)।

আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামের মৃত আনছার উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া তিনি বড়খাতা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ইউনিটের কমান্ডার।  

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আহত ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির সামনের যাতায়াতের কাঁচা রাস্তার সীমানায় কয়েকটি সজনা গাছ রোপন করেন। অভিযুক্তরা মঙ্গলবার সকালে সজনার গাছ গুলো তুলে ফেলতে গেলে বাধা দেন ওই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।

এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা চালায়। শুধু তাই নয় বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরে ওই মুক্তিযোদ্ধার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মইনুল ইসলাম মুন্না জানান, ওনারা রাস্তার সীমানায় সজনার গাছ রোপন করেছেন। তবে সেই সীমানার সাথে লাগোয়া জমি (রাস্তার নিচের জমি) আমার বাবার। সেখানেতো ওনারা গাছ লাগাতে পারেন না। তবে ওনারা যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা। উনি মুরুব্বী মানুষ ওনাকে আমাদের কেউ মারধর করেনি। শুধু একটু ধস্তাধস্তি হয়েছে মাত্র।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেএম/রাতদিন