হাতীবান্ধায় ‘ঘুমকাতুরে’ কর্মকর্তা!

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়। ওই কর্মকর্তার টেবিলের বিপরীতে বসে আছেন বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতা। তাদের পাশে কম্পিউটারে কাজ করছেন অফিসের এক কর্মচারী। আর অফিস চলাকালীন সময়ে সেবাগ্রহীতাদের অপেক্ষায় রেখে বেশ আয়েশে নিজের চেয়ারে বসে বসে ঘুমাচ্ছেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। তাঁর নাম শাহাজান আলী। এ দৃশ্য গতকাল মঙ্গলবার, ৯ জুলাই বিকাল প্রায় তিনটার।

একটি সূত্র থেকে রাতদিননিউজের কাছে আসে ওই কর্মকর্তার ঘুমিয়ে পড়ার দুটি ছবি। সেই ছবিতে দেখা গেছে এ দৃশ্য। পরে খোঁজ নিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘুমের কারণে সেখানে যাওয়া সেবাগ্রহীতাদের অনেকে বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার তিনটার দিকে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাজান আলীর অফিসে যান কয়েকজন সেবাপ্রার্থী। কিন্তু অফিসে ঢুকে তারা দেখতে পান ওই কর্মকর্তা নিজের চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছেন। কর্মকর্তার সাথে কথা বলার জন্য অনেক সময় ধরে অপেক্ষায় থাকার পরও তাঁর ঘুম ভাঙেনি। ফলে তাদের কেউ কেউ ওই অফিসের পিয়ন আবুল হোসেনকে অনুরোধ করেন কর্মকর্তাকে ডেকে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পিয়নের সাফ জবাব ‘এখন ডাকা যাবে না স্যার ঘুমাচ্ছেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার সময় ওই কক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে অপেক্ষায় ছিলেন উপজেলার পাটিকাপাড়া গ্রামের আব্দার রহমান ও তার মামী মোর্শেদা বেগম। মোর্শেদার স্বামী সরকারি চাকুরি করতেন বলে তিনি পেনশন পান। কিন্তু পেনশন বইটি হারিয়ে যাওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। তাই সমস্যা সমাধানে তিনি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসে এসেছিলেন।

আব্দার রহমান জানান, তারা ওই কর্মকর্তার কক্ষে অনেকক্ষন ধরে বসেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই যেন তার ঘুম ভাঙছিল না।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমি নিজেই সেখানে গিয়ে দেখি সেবাগ্রহীতাদের সামনে বসিয়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ঘুমাচ্ছেন।’

‘অফিসে বসে ঘুমাননি’ বলে দাবি করেছেন হাতীবান্ধা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাজান আলী।

এবি/রাতদিন