৬৯৭ জনকে পুড়ে গর্তে ফেলে দেয়ার স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই স্তম্ভ

১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ৬৯৭ নিরীহ গ্রামবাসী প্রাণ হারায়। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও তাদের মেলেনি রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি, পায়নি এখনো স্বজন হত্যার বিচার।

এইদিনে ভোর বেলা পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা বাগুয়া অনন্তপুর, রামখানা, মন্ডলেরহাট, নয়াদাড়া, নীলকণ্ঠ ও দাগারকুঠি গ্রামের নারী-পুরুষকে এখানে নিয়ে এসে নির্বাচারে গুলি করে হত্যা করে। এমনকি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহগুলোকে আগুনে পুড়ে গর্তে ফেলে দেয়।

পরদিন এলাকাবাসী দাগারকুটি গ্রামেই ৬৯৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গণকবর দেয়। গণকবর ও স্মৃতিস্তম্ভটি ইতিমধ্যেই ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানান্তরিত স্মৃতিস্তম্ভটি এখন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে। শহীদদের স্মরণে অনন্তপুর বাজারের পাশে নতুন করে নির্মাণ করা হয় আরো একটি স্মৃতিস্তম্ভ।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার গ্রামবাসীদের শহীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, স্মৃতিস্তম্ভে নামফলক স্থাপন ও শহীদ পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা শহীদ পরিবারসহ সকলের।

এনএ/রাতদিন