৮ শিক্ষকের স্কুলে গিয়ে ১ জন পেলেন দুদক চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষকেরা নিয়মিত স্কুলে আসেন না বলে অভিযোগ আসে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। আর তাই রবিবার, ২৭ জানুয়ারি সকালে চট্টগ্রামের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোপনে পরিদর্শনে যান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এ সময় হঠাৎই একটি স্কুলে উপস্থিত হন তিনি। তবে ওই স্কুলের মোট আট শিক্ষকের মধ্যে শুধু একজনকে উপস্থিত পান দুদক চেয়ারম্যান।

বাকি সাত জনকেই কর্মস্থলে অনুপুস্থিত দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে, শিক্ষা নিয়ে কাউকেই ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না’।

সুত্র মতে, রবিবার, ২৭ জানুয়ারি সকালে আকস্মিক স্কুল পরিদর্শনে বেড়িয়ে পড়েন দুদক চেয়াম্যান। আর যখন চট্টগ্রাম নগরীর কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন, ঘড়ির কাঁটায় তখন ৯টা ১৫ মিনিট। তখনও ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের স্কুলের বাইরে দেখে বেশ অনেকটা বিস্মিত হয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন দুদক চেয়ারম্যান। এরপর দেখতে পান, স্কুলের আটজন শিক্ষকের মধ্যে একমাত্র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উপস্থিত রয়েছেন। বাকি সাতজন শিক্ষকই স্কুলে অনুপস্থিত। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের আশপাশে আচার-চানাচুর খেয়ে অলস সময় পার করছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

এসব দেখে দুদক চেয়ারম্যান যেমন বিস্মিত। তেমনি অভিভাবকদের অনেকেকে তাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কাছে।

ওই এলাকার শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়েও পরিদর্শনে যান দুদক চেয়ারম্যান। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ না দেয়ার বিষয়টি শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তবে নবম শ্রেণিতে একাধিক বিষয়ে ফেল করার পরেও দুই হাজার টাকার বিনিময়ে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীদের দশম শ্রেণিতে প্রমোশন দেওয়ার বিষয়েও জানতে পারেন দুদক চেয়ারম্যান।

এর আগে সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান তিনি। সেখানেও ২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। তবে দুদক চেয়ারম্যানকে ওই দুই শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণ জানাতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এমআরডি-২৭/০১/২০১৯