প্রবীণ সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর আর নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ১টায় চিকিৎসক তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন (ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)।
আমানুল্লাহ কবীরের ছেলে শাতিল কবীরকে উদ্ধৃত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ খবর প্রকাশ করেছে।
আমানুল্লাহ কবীর ওই অনলাইন পোর্টালটির জ্যেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের পাশাপাশি এরশাদ শাসন বিরোধী আন্দোলনে পেশাজীবীদের নেতৃত্বের কাতারে ছিলেন তিনি।
তিনি ডায়াবেটিস ও লিভারের নানা জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমানুল্লাহ কবীরের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
খবরে বলা হয়, অসুস্থতার কারণে দুই সপ্তাহ আগে ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সাংবাদিক আমানুল্লাহকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ইবনে সিনা হাসপাতাল ও পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
সাংবাদিকদের রুটি- রুজির আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা ১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
সাংবাদিকতা জীবনে আমানুল্লাহ কবীর দৈনিক আমার দেশ ও দ্য টেলিগ্রাফের (বিলুপ্ত) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন গুণী এ সাংবাদিক। এর আগে এস এম আলীর সম্পাদনায় প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের শুরুর দিকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আমানুল্লাহ কবীর।
এইচএ/১৬.০১.১৯