আদিতমারীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের মামলা

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর লোকজনের উপর মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীর লোকজনের হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি আদিতমারী থানার এসআই প্রদীপ চন্দ্র বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ১৪জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো দেড় শ জনকে।

আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংর্ঘষের ঘটনায় সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক পাঁচজনকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অন্য আসামিদের নাম জানাননি তিনি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কামরুজ্জামান, ছাদেকুল ইসরাম রনি, রুবেল মিয়া, ওমর ফারুক ও হাফিজুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল আলমকে এবার দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর...

এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী ইমরুল কায়েস ফারুক। তিনি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শওকত আলীর ভাতিজা এবং খুন হয়ে প্রাণ হারানো আ.লীগ নেতা ছামসুল ইসলাম সুরুজের ছেলে।

ফারুক বেশকিছুদিন ধরে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয় প্রত্যাশি হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। গত উপজেলা নির্বাচনেও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোট করে বিএনপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান।

এই অবস্থায় রোববার দুপুরে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা থেকে ফেরার খবর পেয়ে রফিকুল আলমকে স্বাগত জানাতে প্রায় দেড় শাতাধিক মোটরসাইকেলের একটি বহর বেড় করে নেতাকর্মীরা।

সাপ্টিবাড়ি থেকে বের হওয়া বহরটি আদিতমারী আ.লীগ অফিসের সামনে এলে শওকত ও ফারুকের সমর্থকরা এতে  হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের দফায় সংঘর্ষে  ৩ পুলিশ সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক মাইদুল বাবুসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়।

এসময় ভাংচুর করা হয় প্রায় ১০ টি মোটরসাইকেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

এমআরডি-১১.০২.২০১৯