রনি তালুকদার ও ফজলে মাহমুদের মারকুটো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। ২৪ বলে ৪০ রান করে রনি এবং হাফসেঞ্চুরির পর ফজলে মাহমুদ ফিরে যাওয়ার পর শেষের দিকে ফরহাদ রেজার দিকে তাকিয়েছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। কিন্তু মুক্তার আলীর দুর্দান্ত বোলিং বেক্সিমকো ঢাকাকে ম্যাচ জেতাল ২৫ রানে। ৩৭ রানে ৪ উইকেট পান ঢাকার এই পেসার।
ঢাকার ১৭৫ রানের জবাবে রাজশাহী অলআউট হয় ১৫০ রানে।
রাজশাহীর এই হারের দিনে সবচেয়ে বেশি বড় ব্যর্থতার নাম মোহাম্মদ আশরাফুল। এই ব্যাটসম্যান এখন যেন নিজের ছায়ার সঙ্গেই লড়ছেন। রানই আসছে না তার ব্যাটে। ঢাকার বিরুদ্ধে ফিরলেন ৮ বলে মাত্র ১ রান করে। পেছনের পাঁচ ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ আশরাফুল নিশ্চিতভাবেই পরের ম্যাচের একাদশে জায়গা হারাচ্ছেন।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার শুরুটা ভাল হয়নি। ৬৪ রানে হারায় তারা ৪ উইকেট। দুই ওপেনার সিঙ্গেল ডিজিটে ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সেই ধাক্কা সামাল দেন। ২৯ রানে ৩৭ রান করে মুশফিক আউট হন। মিডলঅর্ডারে ইয়াসির আলী ও আকবর আলী এই ম্যাচে রাজশাহীর বোলারদের নিয়ে খেলেন। ইয়াসির আলী চমৎকার ফর্ম বজায় রেখে ৩৯ বলে ৬৭ রান। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলী জানিয়ে দিলেন সামনের দিনে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টিতে তাকে জায়গা দিতে হবে। ২৩ বলে অপরাজিত ৪৫ রান করেন আকবর আলী। ৩১ রানে ক্যাচ আউটের সুযোগ দিয়েছিলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু ফরহাদ রেজা সেটা হাতে রাখতে পারলেন কই?
রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপে রনি তালুকদার এবং ফজলে মাহমুদ ছাড়া বাকি সবাই ফেল। সবচেয়ে কম নম্বর পাচ্ছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বেক্সিমকো ঢাকা: ১৭৫/৫ (২০ ওভারে, মুশফিক ৩৭, ইয়াসির ৬৭, আকবর ৪৫*, মুকিদুল ২/৩৮)।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: ১৫০/১০ (১৯.১ ওভারে, রনি তালুকদার ৪০, ফজলে মাহমুদ ৫৮, শফিকুল ৩/৩১, মুক্তার আলী ৪/৩৭)।
ফল: ঢাকা ২৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ইয়াসির আলী।