লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন অবশেষে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন।
বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শাহীনের প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই বলে উল্লেখ করেন।
শাহীনের আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী রাতদিননিউজকে জানান, বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটানিং কর্মকর্তা ও আপিল কর্মকর্তার মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
একই সাথে ওই রায় কেন বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোরও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত শাহীনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করার পাশাপাশি তা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। এ ক্ষেত্রে কেউ গড়িমসি করলে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে বলা হয়েছে শাহীনর আইনজীবীকে।
জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন শাহীন। কিন্তু আবেদনপত্রে ভোটারদের স্বাক্ষরসংক্রান্ত জটিলতার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন তিনি। সেখানেও তার আপিল বাতিল ঘোষণা করা হয়।
শেষ পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত রোববার, ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন শাহীন। এর পরদিন শুনানির জন্য তালিকায় আসে মামলাটি। কিন্তু মামলার নম্বর ভুল হওয়ায় ওই দিন শুনানি হয়নি।
ফলে মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি কার্যতালিকায় মামলাটি ১৫ নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছিল। তবে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিকালে মামলার নথি উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
ওই দিন শাহীনের আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী রাতদিননিউজকে জানান, আদালত ওই কর্মকর্তাদের প্রতি অসেন্তাষ প্রকাশ করে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন।
আদালত এ সময় সেকশন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও রাশেদকে ডেকে ফাইল উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশ দেন। পরে ‘খোয়া’ যাওয়া সেই ফাইল পাওয়া যায়।
আর এরপরই বুধবার শাহীনের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার এর রায় দিলেন আদালত।