ভাষা দিবস পালনে দুই বাংলা একাকার

শুরুটা সেই ২০০২ সালে। তখন থেকেই দুই বাংলার মানুষ একসাথে পালন করে আসছেন  মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

যশোরের বেনাপোল চেকপোষ্টের নোম্যান্সল্যান্ডে যথাযোগ্য মর‌্যাদায় যৌথভাবে দুই দেশ পালন করে আসছে দিবসটি।

আগে সীমান্তে দু’দেশের অনুষ্ঠান আলাদাভাবে হলেও এবার বাংলাদেশ ও ভারত একই মঞ্চে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ডে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একুশ মঞ্চে’ যৌথভাবে পালিত হবে দিনটি। এজন্য নির্মিত হয়েছে বিশাল মঞ্চ ও দর্শক গ্যালারি।

এবার ‘আমার প্রতিরোধ আমার সংগ্রাম আমার স্বাধীনতা আমার অধিকার আমার ৫২ আমার বর্ণমালা’ স্লোগান নিয়ে দিবসটি পালন করবে দুই বাংলার মানুষ।

অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে শেষ করতে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চেকপোস্ট সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। চেকপোস্টে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী শহীদ মিনার। যেখানে উভয় দেশের অতিথিরা সকাল ৯টায় শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন মূল অনুষ্ঠান। এরপর উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে।

প্রতি বছরই দুই বাংলার সীমান্তবর্তী এ অংশের বাসিন্দারা একসঙ্গে মিলিত হয়ে দিবসটি পালন করেন। তখন দুই দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী ওই স্থানে আবেগাপ্লুত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একে অপরকে আলিঙ্গন করে সকল ভেদাভেদ যেন ভুলে যায় কিছু সময়ের জন্য। দুই বাংলার মানুষের মাঝে বসে এক মিলন মেলা। ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে।

এইচএ/রাতদিন