কয়লার মজুত কমে যাওয়ায় ধুঁকে ধুঁকে চলছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। উৎপাদন নামিয়ে আনা হয়েছে অর্ধেকে। আগামী মাসের মাঝামাঝি প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করতে না পারলে স্টেশনটি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। আর পুরো উৎপাদনে গেলে ১৫ দিনের বেশি চালানো যাবে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চল অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারে।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন। বর্তমানে কোল ইয়ার্ডে মজুত আছে মাত্র ৮০-৯০ হাজার টন। এ জন্য সম্প্রতি উৎপাদন নামিয়ে আনা হয় ২০০ মেগাওয়াটে। এতে কয়লা লাগছিল ২ হাজার টন করে।
দেশে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়া এবং পবিত্র ঈদুল আজহার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উৎপাদন কিছুটা বাড়িয়ে ২৭৫ মেগাওয়াট করা হয়েছে। এতে দৈনিক কয়লা লাগছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টন করে। এভাবে কেন্দ্রটি আর ৪০ দিন চলতে পারে। তবে পুরো উৎপাদনে গেলে বর্তমান মজুত দিয়ে ১৫ দিনের বেশি টানা যাবে না।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেইজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হয়। নতুন করে ১৩০৬ নম্বর ফেইজ থেকে উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পরিত্যক্ত ফেইজ থেকে নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কারকাজ করতে সাড়ে তিন মাসের মতো সময় লাগে। এ কাজ আগস্টের মাঝামাঝি শেষ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী সরকার বলেন, কয়লা সংকটের কারণে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ না করলে বিদ্যুৎহীন কিংবা লো ভোল্টেজে পড়তে পারে দেশের পুরো উত্তরাঞ্চল। মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কমে আসায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সূত্র: সমকাল।