এক হাজার ১৬৬ একর জায়গা নিয়ে ১৯৩১ সালে তৈরি লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি ‘দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম’ বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। তবে বছরের পর বছর ধরে সেটি এক প্রকার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
মাঝেমধ্যে সেখানে হেলিকপ্টার ওঠানামা করতো। ১৯৫৮ সালের পর দেখা মেলেনি কোনো বিমানের।
তবে প্রায় ছয় দশকেরও বেশি সময় পর মঙ্গলবার, ১২ মার্চ দুপুরের দিকে লালমনিরহাট বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করলো প্রথম কোনো বিমান। বিমান বাহিনীর এল-৪১০ মডেলের একটি ফিক্সড উইং বিমান সফলভাবে অবতরণ করে। পরে আবারও সফল উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে ফিরে যায় ঢাকায়।
এই ‘এল-৪১০’ বিমানেই বুধবার লালমনিরহাটে বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবতসহ ওই বাহিনীর একটি উচ্চ পদস্থ দল আসার কথা রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মাস চারেক পর বিমান বাহিনী প্রধানের লালমনিরহাটে এ সফর এবং বিমান ওঠানামা নিয়ে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে লালমনিরহাটসহ রংপুর অঞ্চলের মানুষের মাঝে।
তবে এ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি বিমান বাহিনী রক্ষনাবেক্ষন ও তত্ত্বাবধান লালমনিরহাট ইউনিটের স্কোয়াড্রন লিডার খায়রুল মামুন।
এর আগে গত বছরের ২৫ অক্টোবর যশোর এয়ার ফোর্স একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে লালমনিরহাট বিমানবন্দরের কথা উঠে এসেছিল।
ওই দিন তিনি বিমান বাহিনীকে লালমনিরহাট বিমানবন্দরে বিমান তৈরি, মেরামত এবং এ সম্পর্কিত প্লান্ট বা ইন্ডাস্ট্রি তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তাদের নিজেদের তৈরি বিমান উড্ডয়নে সক্ষম হবে।’
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর দাবি এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের। সম্ভবত মঙ্গলবারের বিমান ওঠানামা এবং বিমান বাহিনীর প্রধানের আগমন ওই দাবি পূরণেরই প্রথম ধাপ।’
এবি/রাতদিন