এক নারীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের ৩৫ বছর বয়সী এক প্রাক্তন নারী কর্মী এ অভিযোগ তোলেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান বিচারপতি।
গগৈ বলেন, ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে দেশের বিচারব্যবস্থাকে। খোদ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় দেশের ‘বিচারব্যবস্থা বিপন্ন’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সুপ্রিম কোর্টের ২২ জন বিচারককে চিঠি লিখে ওই নারী জানান, ২০১৮ সালের ১০ এবং ১১ অক্টোবর তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন রঞ্জন গগৈ।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘উনি আমার কোমর জড়িয়ে ধরে সারা শরীর স্পর্শ করছিলেন। আমি নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলেও উনি আমাকে জোর করে ধরে রেখেছিলেন।’
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তোলা তার এই অভিযোগ প্রকাশিত হয় স্ক্রোল, দ্য ওয়্যার, লিফলেট এবং দ্য ক্যারাভান পত্রিকায়। তবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার এই অভিযোগ সামনে আসার পরই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির ডাক দেয় সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।
সেই বেঞ্চের প্রধান হিসেবে রঞ্জন গগৈ শুনানির সময় মন্তব্য করেন, ‘এই অভিযোগ অবিশ্বাস্য। এই অভিযোগ অস্বীকার করতে গেলেও যতটা নীচে নামতে হয়, তার জন্য আমি প্রস্তুত নই।’
যদিও এই মামলায় তিনি কোনও রায় দেবেন না, প্রবীণতম বিচারপতি অরুণ মিশ্রই এই মামলায় রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
এই অভিযোগের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে বলেও জানিয়েছেন রঞ্জন গগৈ। তার কথায়, ‘নিশ্চিতভাবেই এই সমস্ত অভিযোগের পেছনে কোনও একটা শক্তি কাজ করছে, যারা প্রধান বিচারপতির অফিসকেই নিস্ক্রিয় করে দিতে চাইছে।’
তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই, সেই কারণেই এই রাস্তা বেছে নেওয়া হচ্ছে বলেও শুনানির সময় মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘২০ বছর ধরে চাকরি করার পর আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আছে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। আমার পিওনের কাছেও এর থেকে বেশি টাকা আছে। ২০ বছর ধরে চাকরি করার পর এটা কি প্রাপ্য ছিল আমার?’
এইচএ/রাতদিন