সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের দুটি ধাপে বেতন বাড়ানো হয়েছে। শিগগিরই প্রধান শিক্ষকদের আরও এক ধাপ গ্রেড উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জে মিড-ডে-মিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ১৬টি উপজেলায় একযোগে মিড-ডে-মিল উদ্বোধন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করতে ও ঝরে পড়ার হার নির্মূলে মিড-ডে-মিল কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ১৬টি উপজেলার ২ হাজার ১৬৬ বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ শিক্ষার্থীকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৩৩টি বিদ্যালয়ে কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড- ডে-মিল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে নানা ধরনের অসন্তোষ রয়েছে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় তারা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমরা তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করছি। ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের ১১ গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১২ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেয়া হবে।
জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া মেনে নেয়া হবে, তবে আমরা চাই, শিক্ষকরা আমাদের সন্তানদের সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন। পরবর্তী প্রজন্মকে যদি সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব না হয়, তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে শতভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যের বই বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ ও প্রতিটি শিক্ষার্থীর মায়েদের হাতে উপবৃত্তি বাবদ অর্থ তুলে দেয়া হচ্ছে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, রাজনীতিবিদ, স্কুল প্রতিনিধি সদস্যরা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীরা।