দুর্দান্ত শুরুর পর নবীর বোলিংয়ে এলোমেলো হয়ে গেল করুনারত্নের দল। শেষদিকে আফগানিস্তানের বোলিংয়ের সামনে কোনোভাবেই দাঁড়াতে পারল না শ্রীলঙ্কা। ৩৬ ওভার পাঁচ বলে ২০১ রানেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কান ইনিংস।
বৃষ্টি আইনে জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৮৭ রান। তবে তা করতে হবে ৪১ ওভারে।
এর আগে বৃষ্টির কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। কার্ডিফে অবশেষে খেলা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে। তবে সিদ্ধান্ত হয় খেলা হবে ৪১ ওভারের।
বৃষ্টির আগে ৩৩ ওভার পর্যন্ত খেলা হয়। তাতে আট উইকেটে ১৮২ রান করে শ্রীলঙ্কা। ওই সময় মাঠে ছিলেন লাকমল ও মালিঙ্গা। বৃষ্টির পর ব্যাট শুরু করেন তাঁরা। তবে নেমেই দাওলাত জাদরানের বলে বোল্ড হয়ে যান মালিঙ্গা।
একসময় শ্রীলঙ্কার রান ছিল ২০ ওভারে এক উইকেটে ১৪২ রান। ২০ ওভারের পর শুরু হয় নবীর ঝড়। আফগানিস্তানের এই অলরাউন্ডার একে একে তিনটি উইকেট তুলে নেন। ২৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ১৪৯; নেই পাঁচটি উইকেট! উইকেট নেওয়ার মিছিলে তখন যোগ দিয়েছেন হামিদ হাসান।
যত সময় গেছে শ্রীলঙ্কা আরো শ্রীহীন হয়েছে। ১৮২ রানে আট উইকেট নেই শ্রীলঙ্কার। খেলা হয়েছে ৩৩ ওভার। এরপরই নামে বৃষ্টি।
নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে ১৫ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন নবী।
প্রথম ২২ ওভারে শ্রীলঙ্কার পড়ে যাওয়া চারটি উইকেটই নিয়েছেনে এই নবী। রশিদ খান নিজের প্রথম তিন ওভারে কোনো উইকেট পাননি।
আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা, ১০ নম্বরে আফগানিস্তান।