হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদন্ড

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্র্রাপ্ত আসামিরা হলো- জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।

আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে আছে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। অপর আসামি হাফিজ মাহমুদ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় জখম হন বহুমাত্রিক লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ। হামলার পর তিনি ২২ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০০৪ সালের আগষ্ট গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। ওই বছরের ১২ আগষ্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার পরের দিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে আদালতের আদেশে অধিকতর তদন্তের পর সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটি তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪১ জন সাক্ষ্য দেন আদালতে।