তীব্র শীতে সৈয়দপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিমানের শিডিউল বিঘ্নিত

তীব্র শীতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা, ঘন কুশায়া আর কনকনে হিমেল বাতাসে দুস্থ, অসহায় মানুষ নিদারুণ কষ্টে পড়েছেন। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম বেকায়দায় পড়েছে মানুষ। এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর- ঢাকা- সৈয়দপুর রুটে সবকটি বিমানের ফ্লাইট শিডিউলে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এই রুটে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমানের দুইটি ছাড়াও বেসরকারি বিমানসংস্থার মিলে ১০টি ফ্লাইট চলাচল করে। কিন্তু প্রচন্ড কুয়াশায়  বিঘ্নিত হচ্ছে বিমানের শিডিউল।

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রী এবং সর্বেচ্চ ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই এবারে শীত মৌসুমে এখানকার র্সবনিম্ন তাপমাত্রা। 

তীব্র শীতের প্রকোপে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শরীরে হুঁল ফোটানো শীতে শিশু, বয়স্ক মানুষগুলো একেবারে কাহিল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এই শীতে শ্বাসকষ্ট, এ্যাজমা আক্রান্তরা কষ্ট পাচ্ছেন বেশি। এছাড়াও সর্দি জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তরা হাসপাতালে ছুঁটে আসছেন।

প্রতি বছর শীত মৌসুমে  সরকারি ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুস্থ, গরীব ও ছিন্নমুল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। কিন্তু এ বছর শীতবস্ত্র বিতরণ কম হওয়ায় নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন এসব মানুষ।

এদিকে, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পুরাতন কাপড়ের মার্কেট সৈয়দপুরে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে শহরের শহীদ সামসুল হক সড়কের শীতবস্ত্র মার্কেট ও রেলওয়ে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র সংগ্রহে মানুষ ভীড় করছেন। তবে বেশিদামের কারণে দুস্থ ও অসহায় গরীব মানুষ এ সব গরম কাপড় সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছেন।

পুরাতন কাপড়ের ব্যবসায়ী ইয়াছিন রাতদিন.নিউজকে জানান, গরম কাপড়ের বেল্ট প্রতি দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই খুচরা বাজারেও পুরাতন কাপড় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু হাসনাত সরকার রাতদিন.নিউজকে জানান, সরকারিভাবে দুই দফায় তিন হাজার ৪৬০পিস কম্বল বরাদ্দ মিলেছে। যা ইতোমধ্যে ইউপি ও পৈৗর জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শীতার্তদের মাঝে বিলিবন্টন করা হয়েছে।

তিনি জানান, দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য আরো ছয় হাজার পিস কম্বলের জন্য দুর্যোগ,ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

এনএ/রাতদিন