রাজধানীর চকবাজারের অগ্নিকান্ডে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে তথ্য বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেন্টার থেকে নিহতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ৭০ জন।
আবার একইদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আগুনে মারা গেছেন ৭৮ জন।
পরে রাতে সোহেল মাহমুদ সকালে নিজের বলা সংখ্যাটি ভুল ছিল উল্লেখ করে বলেন, ‘নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬৭।’
এর আগে দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিলেন উদ্ধার হওয়া মরদেহের সংখ্যা ৭০।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ বলছে, উদ্ধারের পর মরদেহগুলো ব্যাগে ভরে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনো কোনো মরদেহের কোনোটার ওপরের অংশ আছে তো নিচের অংশ নেই। আবার কোনোটার নিচের অংশ থাকলেও ওপরের অংশ পাওয়া যায়নি। এগুলো ব্যাগে ঢুকানোর সময় গণনায় ৭০টি হয়েছিল। মর্গে ব্যাগ থেকে বের করে সেগুলো আবার মিলিয়ে দেখা যায় ৭০টির জায়গায় তিনটি কমে ৬৭টি মরদেহ হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসপাতাল মর্গে মরদেহগুলো মিলিয়ে দেখার পর মোট সংখ্যা ৬৭টিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ যেটা বলবে যেটাই সঠিক।’
জেলা প্রশাসনের তথ্য কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, ‘তিনটি লাশের ব্যাগে বেশ কিছু খণ্ডাংশ রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো ৬৭টি লাশেরই। তবে এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে তাই ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ তথ্য বিভ্রাটের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘সকালে মর্গে ১১ জনের মরদেহ ছিল। দুপুরে বাকি মরদেহগুলো যখন ব্যাগে করে আনা হয় তখন সর্বশেষ ব্যাগটিতে ৬৭ সংখ্যাটি লেখা ছিল। দুটি সংখ্যা আলাদা ভেবেই ১১ ও সর্বশেষ ব্যাগের নম্বর ৬৭ যোগ করে নিহতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ৭৮ । বোঝার ভুলের কারণেই এমনটি হয়েছে।’
এইচএ/রাতদিন