পাটগ্রামে ৩ দিন পর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

জেলার পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি আশাদুলের লাশ (২৮) তিন দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। আজ সোমবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের জমগ্রাম ও ভারতের কুচিবাড়ি সীমান্ত সংলগ্ন সড়কে তার লাশ ফেরত দেয়া হয়।

নিহত আশাদুল পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও মেয়ের জনক ছিলেন। এর আগে শনিবার ভোরে সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন তিনি।

সোমবার সকালে ভারতের কুচবিহার জেলার মেকলিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুবাস চন্দ্র রায় পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ( এসআই) জিল্লুর রহমানের নিকট লাশ হস্তান্তর করেন।

এ সময় কোচবিহারের রানীনগর ১৪৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ কুচলিবাড়ি বিএসএফের কোম্পানী কমান্ডার দীপক জসোয়াল ও রংপুর-৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঠ্যাংঝারা কোম্পানী সদরের কমান্ডার নায়েক সুবেদার শাহ মোঃ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, নিহত আশাদুলের লাশ তাঁর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার আশাদুল ইসলমাসহ একদল বাংলাদেশি ওই এলাকার ডাঙ্গাটারী মেছেরঘাট সীমান্ত পারি দিয়ে ভারতে যায় গরু আনতে।

সেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু নিয়ে শনিবার ভোরে ওই সীমান্তের ৮০২ নম্বর মেইন পিলারের ১০ নম্বর উপ-পিলারের পাশ দিয়ে ফিরছিল।

এসময় ভারতের কুচবিহার ১৪৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ কুচলিবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করার পাশাপাশি গুলি ছোঁড়ে । এতে ওই দলের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশ ফিরলেও বিএসএফের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে আশাদুল নিহত হয়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে আশাদুলের লাশ বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর গত শনিবার দুপুরে নিহত আশাদুলের স্ত্রী সোনালী বেগম স্থানীয় বিজিবিকে তার স্বামীর মৃত্যুর বিষয়ে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহবান জানায় বিজিবি।

ফলে ওইদিন বিকেলে দু‘দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এক পতাকা বৈঠকে আশাদুলের নিহতের বিষয়টি স্বীকার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

রংপুর-৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোস্তাফিজার রহমান মুঠোফোনে রাতদিন.নিউজকে বলেন, ‘কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ওই পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে । পাশাপাশি ব্যাটালিয়ন পর্যায়েও এনিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এমআরডি-০৪.০২.২০১৯