আগামী রোববার, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার শেষ হবে শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়।
একজন সচেতন ভোটারের যা যা করতে হবে তাই জেনে নিই :
জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে না:
অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রকেই ভোটার আইডি কার্ড মনে করে থাকেন। এটি একদমই ভুল ধারণা। ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে না।
ভোটের স্লিপ সঙ্গে আনবেন:
ভোটের স্লিপ সংগ্রহ করে সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। যেখানে আপনার ভোটার নম্বর উল্লেখ থাকবে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলের অফিস বা প্রার্থীদের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়। এরপরও স্লিপ না পেয়ে থাকলে যে এলাকার ভোটার সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে অথবা ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে জোগাড় করতে হবে।
তবে ইভিএমে ভোট দিতে গেলে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে যাওয়া উত্তম। তা না হলে আঙুলের ছাপ দিয়ে আপনাকে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোট দিতে হবে।
যেভাবে ব্যালট পেপার ভাঁজ করবেন:
অনেকেই সঠিকভাবে ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে পারেন না বলে সেসব মূল্যবান ভোট বাতিলের ঝুড়িতে গিয়ে পড়ে। ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় সিল দেয়ার পর এমনভাবে ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে, যাতে সিলের কালি অন্য মার্কায় না ছড়ায়।
নির্বাচন উপলক্ষে টিভি চ্যানেলেগুলোতে ব্যালট পেপার ভাঁজ পদ্ধতি দেখিয়ে পরামর্শমূলক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে। প্রয়োজনে সেটি লক্ষ্য করতে পারেন।
ইভিএমে ভোট
এবার ৯০০ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইভিএমে বামপাশে প্রার্থীদের প্রতীক ও ডানপাশে নাম থাকবে। ইভিএমে পছন্দের প্রতীকের বামপাশে কালো বোতামে চাপ দিলে প্রতীকের পাশের সাংকেতিক বাতি জ্বলে উঠবে। এরপর ডানপাশের সবুজ বোতামে চাপ দিয়ে ভোট নিশ্চিত করতে হবে।
ইভিএমে ভোটারদের স্মার্ট কার্ড/আঙুলের ছাপ/ভোটার নম্বর/জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। সে কারণে ইভিএমে ভোটারদের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড নেয়া উত্তম।
শারীরিক সমস্যায় সঙ্গী নেয়া যাবে :
কোনো ভোটার বৃদ্ধ, অসুস্থ বা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলে তার সঙ্গে একজন সহায়তাকারী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সাহায্যকারীর সঙ্গে ভোটার আইডি থাকতে হবে।
আপনার ভোট আগেই কেউ দিয়ে দিলে যা করবেন :
ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যদি দেখেন আপনার ভোট অন্য কেউ আগেই দিয়ে ফেলেছে, তা হলে হতাশ হয়ে ফিরে আসবেন না। আপনি ‘টেন্ডার ভোট’ দিতে পারবেন।
এরকম হলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসার বা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে জানান। ভোটার স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা আঙুলের ছাপ দিয়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারলেই আপনিও ভোট দিতে পারবেন।
প্রিসাইডিং অফিসার তার সই করা ব্যালটে আপনার ভোট নিয়ে সেটি তার কাছে রাখবেন। পরে গণনার সময় এটি যুক্ত করবেন
ভোটকেন্দ্রে যেসব কাজ নিষিদ্ধ :
ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ, ম্যাচ, লাইটার, ধারালো বস্তু, ব্যাগ বহন, মোবাইল ফোন সবই নিষিদ্ধ। শুধু ভোটারের স্লিপ নিতে হবে।
সেলফি নিষিদ্ধ :
সামাজিক মাধ্যমের দিকে ঝুঁকে আছে এই প্রজন্ম। নিজের যে কোনো কাজকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত অনেকেই। সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন নির্বাচন কমিশন।ভোটকেন্দ্রের ভেতরের কোনো ছবি, ব্যালটের ছবি বা সেলফি তোলা একেবারে নিষিদ্ধ।
চেক-ইন নিষিদ্ধ:
ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে চেক-ইন দেয়াও নিষেধ । তবে ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে এসে নিশ্চিন্তে চেক-ইন দিতে ও সেলফি তুলতে পারবেন৷
সুত্র- বাংলা ডট রিপোর্ট
এমআরডি-০৯/২৭.১২.২০১৮