রংপুরে প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা, নিরাপত্তাহীন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

ছবি: রাতদিন.নিউজ

রংপুর মহানগরীর তাজহাট এলাকায় বিশিষ্ট সাংবাদিক, উন্নয়ন ও  মানবাধিকার কর্মী  শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান বারীর জমির প্রাচীর নির্মাণ করতে দিচ্ছেন না একটি প্রভাবশালী পক্ষ। আদালতের নির্দেশ সত্বেও প্রাচীর নির্মানে বাঁধা দেয়ায় অসহায় হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় হয়ে পড়েছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

থানা, আদালত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর কেরানীপাড়ায় হানাদারবাহিনীর হাতে শহীদ হন বিশিষ্ট সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী রায়হান বারীর মাতা রাবেয়া খাতুন।

একই সময়ে রাজশাহীর সেই সময়কার পুলিশ সুপার শাহ আব্দুল মজিদও হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছিলেন। ১৯৭৮ সালে রায়হান বারী রংপুর শহরের তাজহাট, আলমনগর মৌজায় (যার জেএল নং-৯৬, দাগ নং-৪৩৬৮) ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। এরই মধ্যে জমিটিতে প্রাচীর নির্মান করে স্থাপনা করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেন স্থানীয় মো: বশির আহম্মেদ ও তার লোকজন।

বিষয়টি নিয়ে রায়হান বারী আদালতে মামলা করেন (অন্য ২৯/১৮)। আদালতের বিচারক গত ১৯ আগস্ট মো: বশির আহম্মেদ দিং এর ওপরে নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারী করেন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা না দেয়ার আদেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী সাংবাদিক রায়হান বারী সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে গেলে বশির আহম্মেদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সেখানে আবারও বাঁধা দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। নিরুপায় হয়ে রায়হান বারী নগরীর তাজহাট থানায় দুটি অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশের কোন সহযোগিতা পান নি ওই শহিদ পরিবার।

 এ ব্যপারে সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী শাহ রায়হান বারী জানান, আমি একজন শহীদ পরিবারের সন্তান। আমার জমিতে আমি প্রাচীর নির্মান করবো। কিন্তু তাতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাঁধা দিচ্ছে বশির আহম্মদ ও তার লোকজন। তাদের লোকজনের ভয়ে আমরা আতংকিত এবং নিরাপত্বাহীনতায়। এ ব্যপারে তিনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজির কাছে আহবান জানিয়েছেন।

এ ব্যপারে তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রোকনুজ্জামান জানান. এ ব্যপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনএ/রাতদিন