নীলফামারীর সৈয়দপুরে পেঁয়ারা গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট কলহের জের ধরে সনু (৩৮) নামের একজন নিহত হয়েছে। নিহতকে মাথায় ও মুখে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার, ৭ নভেম্বর রাতে সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট পুলিশ ফাঁড়ির পিছনের এলাকায় হত্যার এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের স্ত্রী সাজেদা বাদী হয়ে তাঁর স্বামী সনুকে মাথায় ও মুখে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ এনে শ্বশুর ও দেবরসহ তিনজনকে আসামী করে স্থানীয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলায় পুলিশ নিহত সনুর বাবা মো. ভলুকে (৬০) গত শনিবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রোববার গ্রেপ্তারকৃত ভলুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, শহরের উল্লিখিত এলাকার বাসিন্দা মো. ভলু। তিনি তাঁর চার ছেলে সনু, কোরবান ওরফে চ্যাপ্টা, সুরুজ ও চাঁদকে নিয়ে একই বসতবাড়িতে বসবাস করেন। তাদের বসতবাড়ির পিছনে একটি পেঁয়ারা গাছ গত ৬ নভেম্বর সনুর ছোট ভাই সুরুজ আকস্মিক কেটে ফেলে। এটিকে কেন্দ্র করে সনুর সঙ্গে তাঁর বাবা ও ভাইদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়।
কলহের জেরে গত ৭ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৯টার সনুর সঙ্গে তাঁর বাবা ও তিন ভাইয়ের ঝগড়া বাঁধে। এরই এক পর্যায়ে তারা ইট দিয়ে সনুর মাথায় ও মুখে সজোরে আঘাত করেন।
পরে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামী ভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার এজাহারভূক্ত অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জেএম/রাতদিন