১০ দিনেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া বিন হক শুভ হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার পরিবার। আজ রোববার, ৪ অক্টোবর দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হতাশা প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করা হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে নিহত শুভর মা নুর জাহান হক, বোন ও মামলার বাদি হাসিনা নাজনিন বিনতে হকসহ পরিবারের লোকজন অঁঝোরে কাঁদতে থাকেন। এসময় সেখানে উপস্থিত অন্যদেরও কাঁদতে দেখা যায়। সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শুভর মামি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ রাজিয়া মোস্তফা।।
কাঁদতে কাঁদতে শুভর মা নুর জাহান হক অভিযোগ করেন, ‘বিয়ের পর থেকে স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির চাপে শুভ পরিবারের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। মাঝেমধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হলেও ওর(শুভ) মাঝে আতংক লক্ষ্য করতাম। তারাই আমার সোনার টুকরো ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই’।
পুলিশ প্রথম দিকে হত্যা মামলা নিতে চায়নি অভিযোগ করে হাসিনা নাজনিন বিনতে হক বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার ভাইয়ের উপর অন্যায় অত্যাচার করেছে মা ও মেয়ে। তারা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে শুভকে হত্যা করা হয়েছে’। ঘটনার ১০ দিনেও আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিহত জাকারিয়া বিন হক শুভ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যাম(এমসি মোড়) এলাকার প্রয়াত কলেজ শিক্ষক আব্দুল হকের ছেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে লেখাপড়া শেষ করে ওয়ালটনের মোবাইল সেক্টরের টেরিটরি সেলস ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন তিনি।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত নয়টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের ভাড়া বাসা থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন তিনি। এ ঘটনার পরদিন শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ শেন ও শাশুড়ি আছমা বেগমের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। শেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং তার মা আছমা একটি স্কুল ও কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল।
এবি/রাতদিন