অবৈধ সম্পদ অর্জন: সিভিল এভিয়েশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আছির উদ্দিনের ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রায় ৩ কোটি টাকার অবৈদ সম্পদ অর্জনের মামলায় সিভিল এভিয়েশনের এক নির্বাহী প্রকৌশলীর ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তার মালিকানাধীন ভবণ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার ২৫ অক্টোবর, ঢাকার চতুর্থ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন । তাঁর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডিত ওই কর্মকর্তা হলেন মো. আছির উদ্দিন। রায় ঘোষণার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর...
style="display:block; text-align:center;" data-ad-layout="in-article" data-ad-format="fluid" data-ad-client="ca-pub-3929264565086846" data-ad-slot="3647344972">


রায়ে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় ৮ বছর কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ২৬(২) ধারায ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরে ৩ কাঠা জমির ওপর মালিকানাধীন ভবনসহ সব স্থাপনা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আসাদুজ্জামান গণমাধ্যম কে বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা আছির উদ্দিনের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে। তাঁর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কর্মরত অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা হয়।

উল্লেখ্য, প্রায় ৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১৪ মে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপ – পরিচালক মাহফুজা খাতুন। আদালত দুদকের ওই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার শুরু করেন ।

২০১৮ সালে মামলাটিতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সংস্থাটির আরেক উপ – পরিচালক মো. মনজুর আলম । মামলার তদন্ত চলাকালে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর সিভিল এভিয়েশন কার্যালয়ের সামনে থেকে আছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন একটি দল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এমএস/রাতদিন