দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছিলো রংপুর নগর যুবলীগ। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন যুবলীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকর্মী। দীর্ঘদিন পর রংপুর মহানগর যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে তাই তৃণমুল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার, ২০ জুলাই কেন্দ্র ঘোষিত সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হওয়াতে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্যদের মাঝে এই উচ্ছাস পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আর সম্মেলন উপলক্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সুত্রে জানা গেছে, শনিবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল ১১টায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলন উদ্বোধন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এমপি, একেএম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এম.পি, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকসহ জেলা ও মহানগর নেতাকর্মীরা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। একারণে প্রার্থীরা সব সময় থাকছেন ভোটারদের কাছে। সকাল থেকে রাত অবধি নিজের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত করছেন ভোটারদের। সকলেই নিজের পক্ষে ভোট চাইছেন।
এবারে নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডের ১৫ জন করে মোট ৪শত ৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন মহানগর যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক এবিএম সিরাজুম মনির বাশার, যুগ্ন আহবায়ক হারুন অর রশীদ, মহানগর যুবলীগের সদস্য হারুন অর রশীদ সাগর।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ হোসেন, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, যুগ্ম আহবায়ক শ্রী হারাধন রায় হারা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মাহমুদ রাসেলের নাম নাম জোড়ালোভাবে শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহেল রানা ইমনসহ একাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নামও আলোচনায় রয়েছে।
প্রসংগত, কেন্দ্র থেকে প্রথমে গত ১৩ জুলাই সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়। এরপর রংপুর মহানগর যুবলীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ চালালে কেন্দ্র ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে তারিখ নির্ধারণ করে। পরে আবারো ভোটার তালিকা হতে সদস্যদের তথ্য যাচাইসহ পুন: সংশোধনের দাবি উঠলে অবশেষে কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী শনিবার, ২০ জুলাই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে ২০১২ সালে এবিএম সিরাজুম মনির বাশারকে আহবায়ক করে কমিটি অনুমোদন দেয় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।