আইএসের ‘খিলাফত’ পতনের দ্বারপ্রান্তে

এক সময়ের প্রবল প্রতাপশালী আইএসের ‘খিলাফত’ পতনের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছেছে। সিরিয়ার ফোরাত নদীর তীরে ইসলামিক স্টেটের শেষ, ছোট্ট ছিলমহলটিও যুক্তরাষ্ট্র্র সমর্থিত সিরিয়ার যোদ্ধারা দখলের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফের) যুদ্ধ পরিচালনাকারী কমান্ডার জিয়া ফুরাত এ দাবি জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়।

২০১৪ সালে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মুসল শহরের মধ্যযুগীয় একটি মসজিদে এই খিলাফতের ঘোষণা দিয়েছিলেন জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রধান আবু বকর আল বাগদাদী। নিজেকে তিনি মুসলিম জাহানের খলিফা হিসেবেও দাবি করেছিলেন।খিলাফতের সীমানা উত্তরপশ্চিম সিরিয়া থেকে প্রায় বাগদাদ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো ২০১৫ সাল থেকে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করার পর ধারাবাহিকভাবে পিছু হটতে শুরু করে আইএস। তাদের দখলকৃত এলাকার সীমানাও সঙ্কুচিত হতে শুরু করে। সর্বশেষ আইএসের ‘খিলাফত’ এখন ইরাক সীমান্তের নিকটবর্তী ‘বাঘুজ’ নামক একটি ক্ষুদ্রপল্লী ও কৃষিখেতের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। যার আয়তন কয়েক বর্গমাইল মাত্র।

বাঘুজ নামের এই ছিটমহলটির নিয়ন্ত্রণ হারালে আইএসের স্বঘোষিত ‘খিলাফত’ পুরোপুরি পরাজিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসডিএফের যোদ্ধারা আইএস জঙ্গিদের দখলে থাকা বাঘুজের চারদিক থেকে ঘেরাও করে রেখেছে। এবং জঙ্গিরা এসডিএফের গুলির মুখে আছে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার ফুরাত।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করার পর এসডিএফ পুরো বাঘুজের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। কিন্তু এসডিএফের কর্মকর্তারা এ খবর অস্বীকার করেছেন। 

“আগামী কয়েক দিনের মধ্যে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে, সামরিকভাবে দায়েশের (আইএস) পতনের শুভ সংবাদটি বিশ্বকে জানাবো আমরা,” বলেছেন কমান্ডার ফুরাত।

এর আগে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিরিয়ার বিষয়ে ‘বিশাল ঘোষণা’ আসতে পারে।

আরআই/রাতদিন