প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন শীতে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। তিনি এই মহামারি চলাকালে মানবতার সেবা অব্যাহত রাখার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারপ্রধান বলেছেন, আমরা আশাবাদী, আগামী দিনগুলোতেও আমরা এ রোগের আরও প্রবল বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হব।
আজ শনিবার, ১৭ অক্টোবর রাতে ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার-২০২০ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক ই-সম্মেলন’ ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেশিওলজিস্টস (বিএসএ) এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের চিকিৎসাসেবা উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ, সরকার সত্যিই মনে করে, চিকিৎসাসেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই সরকার চিকিৎসাসেবার সুবিধা বাড়িয়েছে। সরকার কয়েক বছরে বেশ কিছু বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। গতিশীল বেসরকারি খাতও এগিয়ে এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কঠোর পরিশ্রমই বাংলাদেশে ভয়াবহ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে পারে। কভিড-১৯ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার জরুরিভিত্তিতে ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ভাগ্যবান, কেননা এ রোগের সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার উভয়ই বাংলাদেশে খুব কম।
শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসা একটি মহৎ পেশা এবং একজন অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা করে তারা মানবতার সেবা করছেন। কাজেই, একজন ডাক্তারের প্রথম এবং প্রধান কাজই হচ্ছে মানবতার সেবা করা। আমি আশা করব, যে কোনো পরিস্থিতিতেই আপনি আপনার দায়িত্ব ভুলে যাবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ্যানেস্থেশিওলজিস্টরা অপারেশন থিয়েটার ছাড়াও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, অস্ত্রোপচারের আগে, চলাকালে ও পরে এবং সম্পূর্ণ প্রিঅপারেটিভ কেয়ার প্রদানে সংশ্নিষ্ট অ্যানেস্থেশিওলজির গুরুত্ব সর্বত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার তাদের অবদান যথাযথ মূল্যায়ন করবে। সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসার জন্য তাদের আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ হতে হবে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অ্যানেস্থেশিওলজিস্টরা অসাধারণ সেবা দিয়েছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট এবং চিকিৎসক জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের ১৮ হাজার কমিউনিটি হাসপাতালের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
এইচএ/রাতদিন