আদিতমারীর সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানকে কেন অপসারণ নয়, জানতে চেয়ে নোটিশ

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে কেন অপসারণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

গতকাল সোমবার, ৩০ নভেম্বর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নিটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে সাত কার্যদিবসের মধ্যে। আর এ নোটিশ পৌঁছানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে(ইউএনও)।

তবে ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন আজ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফারুক ইমরুল কায়েসকে খুঁজে না পাওয়ায় নোটিশটি এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি’।

আদিতমারীর ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের সাথে অসদাচরণ, দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফারুক ইমরুল কায়েসকে উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী কেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তা জানাতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশপাশি তিনি ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশগ্রহণে রাজি কিনা সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব নুমেরী জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকি ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে গত ১৩ নভেম্বর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন ইউএনওসহ ১৮ কর্মকর্তা। এর প্রেক্ষিতে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার ও লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পৃথকভাবে ঘটনা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেন। এ ঘটনায় পরবর্তিতে ফারুক ইমরুল কায়েস জেলা প্রশাসকের কাছে ইউএনওর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া চেয়ারম্যান ও ইউএনও আদিতমারী থানায় পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছিলেন।

এইচএ/রাতদিন