বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংক নামে তিনটি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন এই তিনটি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা দাড়ালো ৬২ তে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু ফরাহ মো. নাসের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বোর্ডসভায় সর্বসম্মতিক্রমে তিনটি ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তবে তিনি বলেন, “তাদের পেইড আপ ক্যাপিটাল (পরিশোধিত মূলধন) ৫০০ কোটি টাকা হতে হবে। এটিসহ প্রয়োজনীয় আরও শর্ত পূরণের পর তাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে।”
আগে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে পেইড আপ ক্যাপিটাল (পরিশোধিত মূলধন) এর পরিমান ছিল ৪০০ কোটি। এবারে তা ১০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বলা চলে, অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকারদের বিরোধিতার মুখে এই অনুমোদন দেয়া হলো। তারা বরাবরই বলছেন, বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে। বর্তমান অবস্থায় দেশে আর ব্যাংকের প্রয়োজন নেই।
এমনকি গত সেপ্টেম্বরেই সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, “দেশের ব্যাংক খাত খুব বেশি বড় হয়ে গেছে। তাই এ খাত সংকোচনের দরকার হতে পারে।”
নতুন এই ব্যাংক তিনটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
বেঙ্গল ব্যাংকের উদ্যোক্তা বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। এই গ্রুপের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলম। আর প্রস্তাবিত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হলেন তার ছোট ভাই জসীম উদ্দিন।
সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হকের নাম ।
পিপলস ব্যাংকটির আবেদনে প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এম এ কাশেমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনিও প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা।
নতুন তিন ব্যাংকের অনুমোদনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ। একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি জানি না, কেন এই তিন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হলো। এমনিতেই ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ভালো না। বেশিরভাগ ব্যাংকের অবস্থাই খারাপ। নতুন ব্যাংকগুলোর অবস্থাও খারাপ।”
আরআই/রাতদিন