‘আল্লামা শফী এক জানাজার পক্ষে ছিলেন, তারও একটি জানাজা হবে’

হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজা ঢাকায় হবে কিনা? তার কয়টা জানাজা হবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কৌতুহল ছিল। এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন আল্লামা শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী।

আজ শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় আজগর আলী হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমার আব্বা সারা জীবন এক জানাজার পক্ষে ছিলেন। তার একটিই জানাজা হবে। সেটি হবে হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে।

আনাস মাদানী বলেন, আমি দেশবাসীর প্রতি আব্বার জন্য দোয়া চাই। তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসাকে আগলে রেখেছিলেন। জানাজা শনিবার দুপুর দুইটায় চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।

হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ওই মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন।

শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল্লামা শফীর ছেলে ও হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী।

হেফাজত আমিরকে ঢাকার জামিয়া ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় গোসল ও কাফন পরিয়ে শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হবে। হেফাজত আমিরের সাবেক প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ (মজলিসে শুরা কমিটি) তাকে মহাপরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মাদ্রাসার উপদেষ্টা (সদরে মুহতামিম) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

এবি/রাতদিন