ডেভিড ওয়ার্নারের হার না মানা অতিমানবীয় ট্রিপল সেঞ্চুরির সঙ্গে শতক হাঁকিয়েছেন মারনাস লাবুশেন। দুজনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসেই কাজের কাজটি করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ উইকেটে ৫৮৯ রানের হিমালয় গড়ে প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও ফের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন বুনছে স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের স্কোরের দিকে তাকালেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। অ্যাডিলেডের গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্টে প্রথম ইনিংসে মিচেল স্টার্কের পেস ঝড়ের মুখে ৯৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে ৪৩ (ব্যাটিং) রানের ইনিংস খেলে ব্যাটিং ধস কিছুটা সামাল দিয়ে এখনো উইকেটে টিকে আছেন বাবর আজম। মিচেল স্টার্ক একাই চার উইকেট শিকার করায় বাকি ব্যাটসম্যানরা বিশের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি। ইনিংস হার এড়ানোই এখন পাকিস্তানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তার আগে ওয়ার্নার রেকর্ড গড়া ব্যক্তিগত ৩৩৫ রানে পৌঁছতেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ৪১৮ বলে ৩৯ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় অপরাজিত থেকে যান দুরন্ত এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
ওয়ার্নারের সঙ্গে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মারনাস লাবুশেনও। ২৩৮ বলে ২২ বাউন্ডারিতে ১৬২ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
টেস্টে দ্রুততম সাত হাজার রানের মাইলফলক গড়া স্টিভেন স্মিথ ৩৬ রানে ফিরলেও ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে যান ম্যাথু ওয়েড।
পাকিস্তানের একমাত্র সফল বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি। ৮৮ রান দিয়ে তিনি শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তবে ইয়াসির শাহ ৩২ ওভারে ১৯৭ রান খরচ করে উইকেট শূন্য থেকে পড়েছেন লজ্জায়। টিম পেইনের দল ইনিংস ঘোষণা না করলে চতুর্থবারের মতো ২০০ এর অধিক রান খরচ করে ফেলতেন এ স্পিনার।
প্রথম ইনিংসে এক উইকেটে ৩০২ রান তুলে শনিবার (৩০ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৫৮৯/৩ ডি., ১২৭ ওভার (ওয়ার্নার ৩৩৫*, লাবুশেন ১৬২, ওয়েড ৩৮* ও স্মিথ ৩৬; আফ্রিদি ৩/৮৮)।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৯৬/৬, ৩৫ ওভার (বাবর ৪৩ ব্যাটিং, মাসুদ ১৯, ইফতিখার ১০; স্টার্ক ৪/২২, হ্যাজলউড ১/২৯ ও কামিন্স ১/৪৫)।
এনএ/রাতদিন