ইমামও চলে গেলেন, মসজিদে এসি বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে ২০

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন মসজিদটির ইমাম আ. মালেক নেসারি (৬০) (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এছাড়া মিজান (৪০) নামে আরও একজনেরও মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ জনে।

শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শঙ্কর পাল শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালে বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিনসহ গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মসজিদটির ইমামসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগ চারটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সে কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববিকে। অন্যদিকে, তিতাসের জেনারেল ম্যানেজার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের মো.আব্দুল ওয়াহাব তালুকদারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা প্রশাসন এবং তিতাসের দুটি কমিটিই ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমাদের কাছে মোট ৩৭ জন রোগী এসেছিল। বাকি যারা ভর্তি আছেন, তাদের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়।

এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মসজিদটির ইমাম আ. মালেক নেসারি (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), যুবায়ের (৭), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮) সাব্বির (২১), রাশেদ (৩৪), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), জয়নাল (৫০), মাইনউদ্দিন (১২), কাঞ্চন হাওলাদার (৪০), নয়ন (২৭), রাসেল (৩০), বাহাউদ্দিন (৬০), মিজান (৪০)।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে মসজিদের ছয়টি এসি একযোগে বিস্ফোরিত হয় বলে জানা গেছে। তবে মসজিদের নিচে গ্যাসের লিক থেকেও এ বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ধারণা করছে।

এবি/রাতদিন