ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। মতামত জরিপে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন ৬০ বছর বয়সী রক্ষণশীল শিয়া নেতা ইব্রাহিম রাইসি। দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সাথে কথা বলে এমনটা জানিয়েছে আল জাজিরা। সংবাদ মাধ্যমটির সাথে সাক্ষাৎকালে ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হামিদ রেজা গোলামজাদেহ বলেন, ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটারদের একটা বড় অংশই রাইসিকে বেছে নিচ্ছেন।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন সাত জন। তিন জন সরে দাঁড়ানোয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী ইব্রাহিম রাইসি। তিনি ইরানের সাবেক বিচারপতি ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি। এছাড়া দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সমর্থন পেয়েছেন রাইসি। সে হিসেবে তিনিই হয়তো হাসবেন শেষ হাসি। ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাইসি।
রাইসির পর আলোচিত প্রার্থী হলো আবদুল নাসের হেমাতি। তিনি নিজেকে মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচয় দেন। নাসের হেমাতি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করেছিলেন। ছিলেন ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। অন্য দুজন প্রার্থী হলো মহসিন রেজাই ও আমির হোসেন ঘাজিজাদ্দেহ হাসেমি। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে কমবয়সী প্রার্থী আমির হাসেমি। পেশায় তিনি চিকিৎসক।
শুক্রবার (১৮ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় দেশটিতে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। যা চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। তবে প্রয়োজনে রাত ২টা পর্যন্তও চলেতে পারে ভোটগ্রহণ। ইরানে মোট ভোটার রয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি ৯৩ লাখ। তাদের মধ্যে দুই কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার নারী ও দুই কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ভোটার পুরুষ। এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ১৩ লাখ তরুণ।
এদিকে সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই ভোট দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। পরে তিনি ভোটারদের ব্যাপকহারে ভোটদানের আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, শত্রুপক্ষ নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়ে ইরানকে সন্ত্রাসবাদের লালনভূমিতে পরিণত করতে চায়। কিন্তু ইরানি জনগণ সে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।
সূত্র: আল জাজিরা