বরাবরের মতো এবারও ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি হাই ভোল্টেজ ম্যাচ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি যতটুকু দিচ্ছে ক্রিকেট প্রেমিরা তার চাইতেও বেশি দিচ্ছে বাণিজ্য মত্ত ভারতীয় মিডিয়া।
উত্তেজনার রঙ্গ ছড়িয়ে আয় করে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তাই যত বেশি উত্তেজনা ছড়াবে তত বেশি আয় বাড়বে।
রবিবার, ১৬ জুন ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে ভারত।
আর এই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালিয়েছে ভারতীয় ক্রীড়া চ্যানেল স্টার স্পোর্টস। অবশ্য ক্রীড়াঙ্গনের শিষ্টাচার ভেঙে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার শিকারও হয়েছে এই মিডিয়া হাউজ।
কিন্তু অর্থই যেখানে মুখ্য উদ্দেশ্য সেখানে সমালোচনা কোন বিষয় না। আর তাইতো ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচকে ঘিরে দুই দেশের সমর্থকদের ভেতর চিরায়ত উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের বিজ্ঞাপনও চড়া দামে বিক্রি করেছেন।
খেলা চলার সময়ে প্রতি সেকেন্ড আড়াই লাখ রুপিতে বিক্রি করা হচ্ছে বিজ্ঞাপন। প্রতি ১০ সেকেন্ডের জন্য ২৫ লাখ রুপি চার্জ ধার্য করেছেন।
অর্থাৎ খেলা চলার সময়ে চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিতে হলে প্রতি ১০ সেকেন্ডে বাংলাদেশি টাকায় দিতে হবে ৩০ লক্ষাধিক টাকা। যা অনান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, এবারের ম্যাচে সব দিকে থেকেই এগিয়ে আছে ভারত। শক্তি এবং পরিসংখ্যান সব বিবেচনাতেই ভারতের জয়ের পাল্লা ভারী। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিলো ৬ বার। কোনবারই জয়ী হতে পারেনি পাকিস্তান।
অন্যদিকে পাকিস্তানের অবস্থা বেশ নড়বড়ে। ফলে এই লড়াই যে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক হতে যাচ্ছে এমনটা বলারও উপায় নেই। অথচ প্রচার মাধ্যমগুলো যথারীতি তুমুল যুদ্ধের বার্তা দিয়েছে। আর এই বার্তা প্রচারের পেছনে আখেরে প্রচার মাধ্যমের নিজস্ব বাণিজ্যের উদ্দেশ্যকেই চিহ্নিত করছেন সমালোচক-গবেষকরা।
এনএইচ/ রাতদিন